
এ নিয়ে গত ১৪ বছরে ১১ বার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হল।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিট প্রতি গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। ১২ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১ বার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হল।
নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা বেড়েছে। আর সবেচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বেড়েছে ৫৪ পয়সা। নতুন দাম জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫ টাকা ৭২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ১ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩০ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১১ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৩ পয়সা করা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা।
২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি বিইআরসি এসব আবেদনের শুনানি করে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছিল। সে মতামতের ভিত্তিতে নতুন দাম নির্ধারণ করার কথা বিইআরসির। কিন্তু সে পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উৎস- 24livenewspaper.