এমসি কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তিন সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে সোমবার আদেশ জারি করেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

মাউশির সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালককে (কলেজ) সদস্য এবং মাউশির সহকারী পরিচালককে (কলেজ-১) সদস্য সচিব করা হয়েছে ওই কমিটিতে।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি ছিল কি না তা সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দায় দায়িত্ব নিরুপণ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে হবে।’

কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী। ছাত্রলীগের নয়জন কর্মী ওই নারীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ রাতে ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে গত শনিবার শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অন্য আসামিরা হলেন- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালতের আদেশে গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিসহ এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এমসি কলেজর দুই দারোয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।


Categories