এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে বিদ্যমান নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে। কমিটি গত জুন মাসে নীতিমালা সংশোধনের সুপারিশ প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে জমা দেয়।
পত ৪ ডিসেম্বর এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় । এরপর যথাক্রমে ১২ ডিসেম্বর, ২২ ডিসেম্বর, ৭ জানুয়ারি ১১ মার্চ আরো ৪টি সভা অনুষ্টিত হয়। সভাগুলোর আলোচনা নিয়েই এমপিও নীতিমালা সংশোধনের লিখিত সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ।
এদিকে এমপিও নীতিমালা – ২০১৮ এর কিছু ধারা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক নেতারা। বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরমের সভাপতি জনাব সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বিএড স্কেল নিয়োগকালীন যোগ্যতাভিত্তিক স্কেল। এটি উচ্চতর স্কেল হতে পারেনা। এ নীতিমালার ফলে শিক্ষকরা বিএড প্রশিক্ষণে আগ্রহ হারাবে। তিনি বিএড স্কেলকে আগের মত নিয়োগকালীন স্কেল হিসেবে গণ্য করে এরপর দুটি উচ্চতর স্কেল প্রদানের দাবি জানান।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব জনাব মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের আবেদনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক/প্রভাষকদের ও আবেদনের সুযোগ ছিল আগের নীতিমালাগুলোতে। বর্তমান নীতিমালায় এ সুযোগ রাখা হয়নি। তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের আবেদনে পূর্বের ন্যায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষকদের সুযোগ বহাল করার দাবি জানান।
পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষক সমাজের প্রধান সমন্বয়কারী প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি কলেজের প্রভাষকরা বিভাগীয় পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকরা জার্নালে প্রকাশনার ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলে ও এমপিওভুক্ত কলেজের প্রভাষকদের শুধুমাত্র সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।তা ও অনুপাত নামক অযৌক্তিক ও অমানবিক প্রথার কারণে ৭৩% প্রভাষককে আজীবন প্রভাষক থাকতে হয়। তিনি বলেন, অভিশপ্ত অনুপাত প্রথা বাতিল করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সকল প্রভাষককে ধাপে ধাপে সহকারী অধ্যাপক , সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হবে।
কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি জনাব জ্যোতিষ মজুমদার বলেন, বর্তমান নীতিমালায় পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের ১০ বছর পূর্তিতে ৮ম গ্রেড তথা মাত্র এক হাজার টাকা বৃদ্ধির যে নিযম করা হয়েছে, জাতি গড়ার কারিগরদের এর দ্বারা চরমভাবে অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে গ্রেড প্রভাষকরা ২ বছরে পেতেন সেই গ্রেড ১০ বছর পর কেন? তিনি অবিলম্বে এ বিধান বাতিলের দাবি জানান।
বদলি আন্দোলনের সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম বলেন, বদলি না থাকায় নিজ জেলার বাইরে চাকুরিরত শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি বদলির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।