
সোহেল আহমদ সাজু , তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)।
ঈদ আনন্দ: তাহিরপুরে করোনাকে উপেক্ষা করে-পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
করোনা মহামারীতে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন স্পট টাঙ্গুয়া হাওর, শিমুল বাগান ও শহীদ সিরাজ লেকে ( নিলাদ্রী লেক) ঈদ আনন্দ করতে ঈদের দ্বিতীয় দিনে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে টাঙ্গুয়া হাওর সহ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকবাহী নৌকায় করে মাইক বাজিয়ে মহামারী করোনা ভাইরাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জড়ো হয়ে নাছ গান, ঘুরাঘুরি এবং লেক ও হাওরে সাঁতার কাটছেন এখানে আসা পর্যটকরা। তবে, টাঙ্গুয়া হাওর সহ পর্যটন স্পটগুলোতে যাতে পর্যটকরা আসতে না পারেন সে ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে ।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে টাঙ্গুয়া হাওরে ভ্রমণের চেষ্টা করায় ৪টি পর্যটক গ্রুপকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রায়হান কবির ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানাগেছে, গত ১১ জুন উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরে সরকার থেকে জারি করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু গত ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশ কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে সে সুযোগে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছেন তারা ।
কমলাকান্দা থেকে নৌকা যোগে আসা রাজন বলেন, ঈদে আনন্দ উপভোগ করতে ১৭ জন মিলে টাঙ্গুয়া হাওরে এসেছেন তারা, তাদের আর ঘরে বসে থাকতে ভালা লাগছেনা, তাই তারা ঘুরতে এসেছেন।
মধ্যনগর থেকে আসা আসিকনুর মিয়া নামে একজন বলেন, করোনার ভয় উপেক্ষা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে শহীদ সিরাজ লেকে এসেছন তারা ২০ জন। এখানে আসার পর পুলিশ কিছু বাঁধা দিচ্ছে। কিন্তু কেউ কেউ পুলিশের বাধা মানছেন আবার কেউ কেউ মানছেননা।

তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলী বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অপেক্ষা করে এই মহামারী করোনার পরিস্থিতির মধ্যে সকাল থেকে কয়েক শ পর্যটকবাহী নৌকায় করে শত শত পর্যটকরা শহীদ সিরাজের লেকের পাশে অবস্থান করছে। তারা বিধিনিষেধ না মেনে লেক সহ ট্যাকেরঘাটের আশপাশে সংঘবদ্ধ ভাবে ঘুরাঘুরি করলেও পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের কাউকে এখানে তেমন দেখা যাচ্ছেনা।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, পর্যটকরা যাতে হাওর ও পর্যটনস্পটগুলোতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। উপজেলা সদর থেকে অনেক পর্যটকদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পর্যটকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । তারপরও যদি কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।