আজ রোববার থেকে পারাবতসহ ১২ জোড়া আন্তঃনগর এবং এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু”

আজ রোববার থেকে পারাবতসহ ১২ জোড়া আন্তঃনগর এবং এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর চলাচল শুরু করেছে পারাবত এক্সপ্রেস।
করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে দেশে আস্তে আস্তে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার আরো ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এর মধ্যে ১২ জোড়া আন্তঃনগর এবং এক জোড়া কমিউটার ট্রেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলো।
জানা যায়, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন রোববার কমলাপুর স্টেশনে নতুন চালু হওয়া ট্রেন পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতোই ট্রেন চলাচল করবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী ১৭ জোড়া ট্রেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছিল। সরকার যেহেতু আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে, তরই অংশ হিসেবে আজ থেকে আরো ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করলো।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে সব মিলিয়ে ৩৫৫টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ৫০ জোড়া বা ১০০টি আন্তঃনগর ট্রেন। দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে মার্চের শেষ দিকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর সীমিত পরিসরে মালবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। তবে গত ৩১ মে থেকে ৮ জোড়া আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়। জুনে যুক্ত হয় আরো ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন। কিছু দিন চলাচল করে অবশ্য যাত্রী না থাকায় দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর অংশ হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস বন্ধ থাকার পর চলাচল শুরু করেছে সিলেট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস। সিলেট থেকে ২৭৪ যাত্রী নিয়ে রোববার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
করোনার কারণে এর আগে সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করছিল। এর সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো একটি ট্রেন। ফলে এখন সিলেট-ঢাকা রুটে দুটি এবং চট্টগ্রাম রুটে একটি ট্রেন চলাচল করবে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের অংশ হিসেবে গত ২৪ মার্চ থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকেই বন্ধ ছিল ঢাকা-সিলেট রুটের পারাবত এক্সপ্রেস। গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সময় থেকেই সামাজিক দূরত্ব মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সিলেট-ঢাকা রুটে কালনী এক্সপ্রেস এবং সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে। আর রোববার থেকে ঢাকা-সিলেট রুটে চালু হলো পারাবত এক্সপ্রেস।
জানা জায়, রোববার সকালে সিলেট থেকে নির্দিষ্ট সময়ে কালনী এক্সপ্রেস ১৬৬ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। আর চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ২৭০ যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে। ট্রেনের নির্দিষ্ট বন্ধের দিনগুলো ছাড়া সিলেট থেকে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে এবং চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ১০টা ১৫ মিনিটে চলাচল করছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান জানান, করোনার সংক্রমণের মধ্যেও এতদিন সিলেট থেকে এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছিল। আর আজ থেকে চলাচল শুরু করেছে পারাবত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে বেলা ১টায় সিলেট পৌঁছায়। এর পর সিলেট থেকে ২৭৪ যাত্রী নিয়ে বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে পারাবত এক্সপ্রেস। উৎস-24newspaperlive.