
আজ কর্কটক্রান্তি দিবস। ২১জুন উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিন। বছরের এই দীর্ঘতম দিনে ঢাকার আকাশে সূর্য থাকবে মোট ১৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট ১ সেকেন্ড। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই দিনটি কর্কটক্রান্তি (বা অয়ন) দিবস বা Summer Solstice day হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে সূর্য তার উত্তরায়নের সর্বোচ্চ বিন্দুতে অবস্থান করে এবং সর্বোচ্চ উত্তরে উদয় হয় ও সর্বোচ্চ উত্তরে অস্ত যায়। পৃথিবীর কর্কট রেখায় – যা কিনা ২৩.৫ অক্ষাংশ দিয়ে যায় – সূর্যকে ঐদিন মধ্যাহ্নে আকাশের ঠিক মাঝখানে দেখা যায়। বাংলাদেশের মধ্যাংশ দিয়ে কর্কট রেখা যাবার ফলে কর্কটক্রান্তি দিবসে বাংলাদেশের প্রায় সবখানেই মধ্যাহ্নে সূর্য থাকবে মধ্যগগনে প্রায় মাথার উপরে সুবিন্দুতে। ঐ সময়ে কর্কটরেখায় কোনদন্ড বা লাঠি ভূমির সাথে লম্বভাবে রাখলে তার ছায়া পড়বে না। ঢাকার আকাশে ২১শে জুন বেলা ১২ টায় সূর্য মধ্যগগন থেকে মাত্র ০.৩ কৌণিক ডিগ্রী দূরে থাকবে, তাই ঢাকাতেও ঐসময়ে কোন লম্ব দন্ডের ছায়া প্রায় পড়বে না বলা যায়।
২১ জুন উত্তর গোলার্ধে বছরের দীর্ঘতম দিন, যা কর্কটক্রান্তি দিবস নামে পরিচিত। এই দীর্ঘতম দিনে মেঘমুক্ত আকাশে সারাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় । বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও উত্তর ভারত, চীন, পাকিস্তানের দক্ষিণ ভাগ, তাইওয়ান, মধ্য আফ্রিকা থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। আর বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর।
খালি চোখে গ্রহণ দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই গ্রহণ দেখার জন্য চোখের সামনে #১৩ অথবা #১৪ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস রাখুন ।সূর্যকে নিরীক্ষণ করার বিশেষ সানগ্লাস পাওয়া যায়। সূর্যগ্রহণ দেখার সময় সেটি অবশ্যই যেন চোখে থাকে। সূর্যগ্রহণের সময় আশপাশের ঝোপে কিংবা গাছের ছায়ার দিকে নজর রাখুন। গ্রহণের নানা আকার মাটির উপর পড়া সেই ছায়ায় খুঁজে পাবেন।
ভুলেও খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকাবেন না। এতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন।
সাধারণ সানগ্লাস পরে গ্রহণ দেখার চেষ্টাও করবেন না। পানির মধ্যেও সূর্যগ্রহণের প্রতিবিম্ব দেখবেন না। সানগ্লাস, এক্সরে ফিল্ম, ভিডিও বা অডিও ক্যাসেটের ফিতা, নেগেটিভ, ঘোলা বা রঙিন কাচে সূর্যগ্রহণের ক্ষতিকর অতিবেগুনী ও অবলোহিত রশ্মি আটকায় না। সেই সঙ্গে হ্যারিকেনের কালিমাখা কাচের মধ্যে দিয়েও সূর্যগ্রহণ দেখবেন না।